ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪

ইউএনও'র অভিযানে সর্বমহলের সাধুবাদ

চকরিয়া খোদারকুমের জলাধার দখলে নির্মিত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

এম জিয়াবুল হক, চকরিয়া ::
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলা সদরের শতবছরের পুরানো ঐতিহ্যবাহি খোদারকুমের সেই জলাধার জবরদখল চেষ্টা ভন্ডুল করে দিয়েছেন উপজেলা প্রশাসন। কয়েকদিন আগে কতিপয় একটি চক্র রাতের আঁধারে গাছের তক্তা ও টিনের বেড়া দিয়ে খোদারকুম জলাধারের সামনের অংশ জবরদখলে নিয়ে সেখানে অবৈধ স্থাপনা তৈরি করেছে। এই অবস্থায় পরিবেশ সচেতন মহলের আপত্তির মুখে শতবছরের ঐতিহ্যবাহি খোদারকুম জলাধার রক্ষায় গত সোমবার চকরিয়া পৌরসভার মেয়র আলমগীর চৌধুরী লিখিত অভিযোগ করেছেন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক, কক্সবাজার পরিবেশ অধিদফতর ও চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) দপ্তরে।

এরই প্রেক্ষিতে গতকাল মঙ্গলবার (২৫ জুন) বিকালে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো: ফখরুল ইসলাম থানা পুলিশের একটি টিম এবং চকরিয়া পৌরসভার প্রতিনিধি টিমকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে
জলাধার জবরদখলের সত্যতা নিশ্চিত হন।
এরপর নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো. ফখরুল ইসলাম উপস্থিত থেকে অভিযান চালিয়ে সদ্য নির্মিত অবৈধ স্থাপনা সমুহ উচ্ছেদ করে দিয়ে অবশেষে শতবছরের ঐতিহ্যবাহি খোদারকুম জলাধার জবরদখল চেষ্টা ভন্ডুল করে দিয়েছেন।

অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো.ফখরুল ইসলাম। তিনি বলেন, কতিপয় একটি চক্র কয়েকদিন আগে রাতের আঁধারে শতবছরের পুরানো ঐতিহ্যবাহি খোদারকুম জলাধারের সামনের অংশ জবরদখলে নিয়ে সেখানে অবৈধ স্থাপনা তৈরি করে। অবশ্য ঘটনাটি জানতে পেরে রোববার রাতে চকরিয়া থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে জবরদখল চেষ্টা থামানোর পদক্ষেপ নেন। কিন্তু পুলিশ ঘটনাস্থল ত্যাগ করার পর পুনরায় জড়িতরা সেখানে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ কাজ চালিয়ে যায়।

তিনি বলেন, উল্লেখিত ঘটনার আলোকে স্থানীয় পরিবেশ সচেতন মহলের আপত্তি ও চকরিয়া পৌরসভা কতৃক লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে গতকাল বিকালে ঘটনাস্থলে অভিযান চালিয়ে সদ্য নির্মিত অবৈধ স্থাপনা সমুহ উচ্ছেদ করে খোদারকুম জলাধারের অবশিষ্ট অংশ আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা হয়েছে।

চকরিয়া পরিবেশ সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি সাংবাদিক এমআর মাহমুদ বলেন, বেশ কয়েকবছর আগে থেকে কতিপয় দখলবাজ চক্রের কবলে পড়েছে শতবছরের পুরানো খোদারকুম জলাধারটি। ইতোমধ্যে জলাধারের দুই তীরে বেশকিছু অবৈধ স্থাপনা তৈরি করে রীতিমতো ব্যবসা বাণিজ্য শুরু হয়েছে।

তিনি বলেন, একইভাবে সম্প্রতিসময়ে নতুন করে জবরদখলে নিয়ে তৈরি করা খোদারকুম জলাধারের সামনের অংশের অবৈধ স্থাপনা সমুহ উচ্ছেদ করে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ( ইউএনও) বিপন্ন জলাশয় রক্ষায় সাহসী ভুমিকা পালন করেছেন। এইজন্য সর্বমহল তাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।

,

পাঠকের মতামত: